নিউজ ডেস্ক: ফেসবুকে পরিচয়ের পর চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা থেকে ফুঁসলিয়ে নিয়ে যাওয়া তিন স্কুলছাত্রীকে নগরীর বায়েজিদ ও সুনামগঞ্জ থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। অপহরণের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় পুলিশ এক নারীসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে।
মঙ্গলবার (৪ সেপ্টেম্বর) ভোর পর্যন্ত গত দুইদিন ধরে অভিযান চালিয়ে তিন ছাত্রীকে উদ্ধারের পাশাপাশি পাঁচজনকে গ্রেফতারের কথা জানিয়েছেন নগর পুলিশের কর্ণফুলী জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) জাহেদুল ইসলাম।
গ্রেফতার হওয়া পাঁচজন হলেন- মো. শাকিব খান (১৮), তার মা আজিমা খাতুন (৪৮) ও ভাই সম্রাট (৩০) এবং দুই বন্ধু সুজন (২০) ও নাঈম হোসেন (১৮)। ঘটনায় জড়িত আরও একজন পলাতক আছেন বলে জানিয়েছেন এসি জাহেদুল ইসলাম।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পতেঙ্গা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির একজন ও অষ্টম শ্রেণির দু’জন ছাত্রী ঘটনার শিকার হয়েছিলেন। তিনজনই পতেঙ্গা মুসলিমাবাদ এলাকার একই পাড়ার বাসিন্দা।
গত ১ সেপ্টেম্বর স্কুলে যাওয়ার পর তিন ছাত্রী আর বাড়ি ফেরেননি। ঘটনাটি পুরো এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি করে। পরে এক ছাত্রীর বাবা পতেঙ্গা থানায় গিয়ে অপহরণের অভিযোগে মামলা করেন।
এসি জাহেদুল ইসলাম সারাবাংলাকে জানান, নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরকাঁকড়া গ্রামের বাসিন্দা শাকিব খান মুসলিমাবাদ এলাকায় ভাড়া থাকতেন। সেখানে এক ছাত্রীর সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরে তার বন্ধু নাঈম এবং সম্রাটের সঙ্গে ওই ছাত্রীর আরও দুই বান্ধবীর পরিচয় হয়। ফেসবুকে তাদের মধ্যে নিয়মিত কথাবার্তা হতো। একপর্যায়ে শাকিব ও তার দুই বন্ধু ফুঁসলিয়ে তাদের নিয়ে পালিয়ে যায়।
শাকিব এক ছাত্রীকে নিয়ে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি থানা এলাকায় নিজের বাসায় রাখেন। সেখানে তার মা ও দুই ভাইও থাকে। শাকিবের দুই বন্ধু বাকি দুই ছাত্রীকে নিয়ে সুনামগঞ্জ জেলা সদরে চলে যান।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টানা দুইদিন অভিযান চালিয়ে তিন ছাত্রীকে উদ্ধারের পাশাপাশি পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়। শাকিবের মা ও ভাই ভিকটিমকে আটকে রাখতে সহযোগিতা করায় গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এসি জাহেদুল ইসলাম।
তিন ছাত্রীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। গ্রেফতার হওয়া পাঁচজনকে মঙ্গলবার বিকেলে আদালতে হাজিরের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
সারাবাংলা
পাঠকের মতামত